সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শাহজাহান ওরফে বড় শাজাহানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে । তবে নারায়ণগঞ্জ শহরে এখন তার বাস। পরিবহণ সেক্টর দিয়ে শুরু করে করলেও এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। কিছু দিন আগে বন্ধ হওয়া বাসষ্ট্যান্ড ও ৫ নং ঘাটের দু’টি জুয়ার আসরের মূল হোতা সে। বুধবার রাতে পুলিশ জিমখানা জুয়ার আড্ডায় হানা দিয়ে জানতে পারে এখানেও সেই শাহজাহান। তবে পুলিশ আসার আগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায় সে। সচেতন মহলের প্রশ্ন উঠেছে, এই শাহজাহানের পেছনে কে বা কারা। কার সাহসে সে বার বার শহরে জুয়ার আসর বসায়।
সূত্র মতে, বিভিন্ন এলাকার জুয়ারিদের কাছে শাহজাহান ভ্রাম্যমান জুয়ার স¤্রাট হিসেবে পরিচিত। সে শহরের কালীরবাজার, টানবাজারের ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অফিস, বাসষ্ট্যান্ড, জালকুঁড়ি ও নতুন জিমখানা জুয়ার আসরের মূল হোতা। সে গুলশান সিনেমা হলের কালচারাল ক্লাব ভাড়া নিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়।
সূত্র জানায়, ৫ নং ঘাটের জুয়ার আসরে শাহজাহানের সাথে পরিচয় হয় জিমখানার বাচ্চু মিয়ার ছেলে অপুর। জিমখানায় রয়েছে অপুর প্রভাব ও বাহিনী। শহরে জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেয়ার পর সেই সূত্রে অপুর সাথে যোগাযোগ করে শাহজাহান। দুইজনে পরিকল্পনা করে নতুন শহরের জিমখানার গরুর ঘরকে জুয়ার আসরে পরিনত করে। চার পাশে মাদকাসক্ত পাহারাদার বাহিনী রাখা হয়। সাথে থাকে ছোট শাহজাহান, মিজান, শাকিল, খোরশেদসহ কয়েকজন। এই জুয়ার আসরেরও প্রধান ছিল শাহজাহান।
পুলিশ আসর গুড়িয়ে দিলে গা ঢাকা দেয় সে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে আসরে প্রায় ৫০ জন জুয়ারি ছিলো। সেখানে শাহজাহানও ছিলো। তবে পুলিশ আসার বিষয়টি আগেই টের পেয়ে পালিয়ে যায় সে। এর আগে শাহজাহানকে ৫ নং ঘাটের জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই সময়ে পুলিশের অভিযানে ৪০ জুয়ারীকে গ্রেফতারের ঘটনায় ডিবির এস আই আলমগীর কবির বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় জুয়া বোর্ডের মূল হোতা শাহজাহান সহ অজ্ঞাত ১০-১৫জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে জিমখানার জুয়ার আসর থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে সূত্র জানায়। সেই চিরকুটে নাম ও কোন খাতে প্রতিদিন টাকা যেত সেই হিসাব রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ কামরুল ইসলাম জানান, অপরাধী যেই হোক আমরা তাদের গ্রেফতার করবো এবং অভিযান চলমান রয়েছে।